১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধের পর ৩০লক্ষ তাজা প্রাণ ও ২লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পৃথিবীর বুকে আলাদা মানচিত্রে ভূখণ্ডিত হয় একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এই বিজয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় এবং মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য সকলের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাব।
১৮ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী’র সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম শাহীনের সঞ্চালনায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্রগঠনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান। এসময় বক্তারা বলেন, দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গৌরবময় এবং স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীনতার স্বাদ এবং জাতি হিসেবে নিজস্ব পরিচিতি। লাখ লাখ শহিদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়ে যাই আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
প্রেসক্লাব নিয়ে প্রতারণার বিষয়ে বক্তারা জানান, কক্সবাজারে এখন প্রেসক্লাবের ছড়াছড়ি। অন্য প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে কিছু সাংবাদিক লেবাসধারী ব্যক্তি ঢাকার জয়েন্ট স্টক থেকে টাকার বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশনের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজের মূল প্রেসক্লাব বলে দাবি করছে।
তারা আরো জানান, এখন অপসাংবাদিকতা ছড়িয়ে পড়ছে। প্রচার করছে তথ্য ও উপাত্ত বিহীন সংবাদ। সাংবাদিকের মত দেখতে আসলে এরা সাংবাদিক না। আসলে এরা হলো কলম সন্ত্রাসী। সাংবাদিককে যেখানে বলা হয় সমাজের বিবেক। একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যম। সাংবাদিকদের বেশভূষা পারে রাজধানী ঢাকা সহ স্থানীয় পত্রিকায় অসৎ উপায়ে একটা পরিচয়পত্র নিয়ে এসে রাতারাতি হয়ে যায় কলম সন্ত্রাসী। সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে এ কলম সন্ত্রাসীদের কারণে। সমাজের মধ্যে তৈরি হয়েছে গোদের উপর বিষফোঁড়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দৈনিক রূপালী সৈকত পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ফজলুল কাদের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হাশেম, সহ-সভাপতি এম আয়াছ রবি, দৈনিক মেহেদী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজিম উদ্দিন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রমজান আলী সিকদার, কোষাধ্যক্ষ মোঃ হাসান, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কামরুন তানিয়া, দূর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল ইসলাম কাজল, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সোহেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাসেল তালুকদার, প্রচার সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক জাফর আলম, নির্বাহী সদস্য রফিক সিরাজী, সুরেজ সিকদার, আনিসুল হক, হেলাল উদ্দিন সহ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে এবং ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার আন্দোলনে এদেশ থেকে সৈরাচারী সরকারের পতনের লড়াকু যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতের রোগমুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালিত হয়।
Leave a Reply