আজ ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাঙ্গালী বর-রোহিঙ্গা কনের আড়াই মাস সংসার! অত:পর ঘরছাড়া নুর-কায়েছ!


শ.ম.গফুর >>> নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কচুবনিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা মৃত হায়দার আলীর ছেলে মাহমদুল হকের সাথে পরিচয় থেকে প্রেম। প্রেম থেকে প্রনয়।সংসার পাতেন আড়াই মাস!আড়াই মাসের প্রতারণায় দেহ বিলিয়েও ঘরছাড়া রোহিঙ্গা নারী নুর কায়েছ।জানা গেছে, গত ৩ মাস পূর্বে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা নারী নুর কায়েছ’কে মাহমুদুল হক’র বাড়িতে আশ্রয়ে রাখেন।এক সময় নুর কায়েছের প্রতি লোলুপ দৃষ্টি ফেলেন মাহমদুল হক। পরবর্তী রোহিঙ্গা নারী নুর কায়েছ’কে কচুবনিয়ার স্থানীয় পরিচয়ে কক্সবাজারস্থ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার বিয়ের চুক্তিতে এভিডেভিট সম্পাদন করেন। যার মধ্যে ১ লাখ টাকার স্বর্ণ ও ২০ হাজার টাকার কাপড় নগদ, আড়াই লাখ টাকা বকেয়া রেখে কয়েকজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে দাম্পত্য জীবন যাপনের কথিত বৈধতা সম্পন্ন করা হয়।চুক্তিপত্রের ১নং কলামে স্পষ্ট লেখা রয়েছে উভয়পক্ষ স্থানীয় বাসিন্দা ও বাংলাদেশী নাগরিক। কিন্তু ২য় পক্ষ কোন মতেই বাংলাদেশী নাগরিক নন,সম্প্রতি বাস্তুহারা হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময়কাল মাত্র ৩ মাস।ভুক্তভোগী রোহিঙ্গা নারী নুর কায়েছ এ প্রতিবেদককে জানান,মিয়ানমার থেকে আসার দুয়েকদিন পরই বিভিন্ন ধরণের হুমকিধমকি দিয়ে কক্সবাজার নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন মাহমদুল হক।বিয়ের সময় নোটারী করালেও কোন প্রকার দেনমোহর নগদ প্রদান করেন নি তিনি।শুধু দেহ লুটে নিয়ে আর বিভিন্ন অজুহাত তুলে অমানুষিক নির্যাতন করেছে মাত্র।শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতনের নির্মম জখম নিয়ে এক কাপড়েই ঘর ছাড়া করেছে সে।আমি মজলুম -অসহায়।অভিযুক্ত মাহমুদুল হক এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,আমি নুর কায়েছ’কে বিয়ে করেছি ঠিক আছে।নুর কায়েছের প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের প্ররোচনায় প্রলুদ্ধ হয়ে আমি তাকে বিয়ে করেছিলাম।বিয়ের পর জানতে পারি, নুর কায়েছ বিভিন্ন পর পুরুষের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতো।যা আমি নিজেও শুনে, তাকে একাধিকবার সতর্ক করি।কিন্তু নুর কায়েছ এসবের কিছুই তোয়াক্কা করেন না। সে নিজের ইচ্ছায় রাতের আঁধারে ক্যাম্পে চলে গেছে।ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র’র ইনচার্জ মো: জাফর ইকবাল এ বিষয়ে অবগত নয় বলে জানিয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,মাহমদুল হক একজন নারী লিপ্সু ব্যক্তি।সে ইতিপূর্বে আরো ৬/৭ টি বিয়ে করার জনশ্রুতি রয়েছে।নুর কায়েছ তার ৮ম স্ত্রী বলে জানান অনেকেই।উল্লেখ বাঙ্গালী ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিয়ে-সাদী সম্পাদনে বিধিনিষেধ থাকলেও কেউ মানছেনা।আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অগোচরে প্রায় বিয়ে-সাদী সম্পাদিত হচ্ছে বাঙ্গালী ও রোহিঙ্গার মধ্যে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর