আজ ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতার ‘দখল করা জায়গা’ এখন বিএনপি নেতাদের হাতে


নিউজ ডেস্ক >>> চট্টগ্রামে পদধারী যুবলীগ নেতার ‘দখল করা জায়গা’ হাত বদলে এখন বিএনপি নেতাদের দখলে। বিনিময়ে বিএনপি নেতাদের ‘সুপারিশে’ থানা ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তারের হাত থেকে বেঁচেছেন ওই যুবলীগ নেতা। পুলিশ ওই যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার করলেও দু’জনকে আসামি দেখায় এবং ওই যুবলীগ নেতাকে চালান করে ‘সন্দেহজনক ঘোরাফেরার’ অপরাধ দেখিয়ে।

তবে বিএনপি নেতা এ ঘটনা অস্বীকার করে যুবদল নেতার ওপর দায় চাপিয়েছেন।চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানায় গত ২১ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয় তিন আসামিকে।

গ্রেপ্তার ওই যুবলীগ নেতা হলেন মো. রফিকুল ইসলাম টিটু (৪৮)। তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সহ-সভাপতি। অপর দু’জন হলেন মো. জমশেদ আলম (৪০) ও মো. আবদুর রাজ্জাক (৩২)। এদের মধ্যে জমশেদ যুবলীগ নেতা এবং রাজ্জাক থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

জমশেদ ও রাজ্জাকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আকবরশাহ থানা সংলগ্ন হাউজিংয়ের প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের খাস ভূমি দখল করে বাউন্ডারি দিয়ে টিনের ঘর নির্মাণের পর ভোগ করে আসছিলেন রফিকুল ইসলাম টিটু। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে থানা ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার হন টিটু। গ্রেপ্তারের পর বিএনপি ও যুবদল নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ওই দুই নেতা হলেন—নগর বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও আকবরশাহ বিএনপি সহ-সভাপতি রেহান উদ্দিন এবং থানা যুবদল সাবেক সদস্য সচিব ইলিয়াস।

আরও জানা গেছে, রেহান উদ্দিন ও ইলিয়াসকে ওই খাস জায়গার দখল ছেড়ে দেন যুবলীগ নেতা টিটু। ইলিয়াস ওই জায়গার দখল নিয়ে তালা মেরে দেন। এরপর বিএনপি নেতাদের ‘সুপারিশে’ পুলিশ তাকে সিএমপি অধ্যাদেশ ৮৮(ডি)/১০৩ ধারায় আদালতে চালান দেয়। যেখানে টিটুকে সন্দেহজনক হিসেবে দেখানো হয়। কিন্তু তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়ার অপর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকে ভাঙচুর মামলায় চালান দেওয়া হয়।

p2p wecon inner

৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম টিটুর কাছে দখল করা জমি বিএনপি নেতাদের ছেড়ে দিয়েছেন কিনা—জানতে চাইলে তিনি আমতা আমতা শুরু করেন। এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ বলেছে আমাকে যাতে এই এলাকায় আর না দেখে।’

দখলে নেওয়া জমি তালাবদ্ধ করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন সাবেক যুবদল নেতা ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগর বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও আকবরশাহ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি রেহান উদ্দিন যুবদল নেতা ইলিয়াসের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘জায়গাটি কার দখলে তা আপনারা জানেন।’

chevronlab-mobile

দু’জনকে ভাঙচুর মামলায় এবং অপর এক যুবলীগ নেতাকে ৮৮(ডি)/১০৩ ধারায় কেন চালান দেওয়া হলো জানতে চাইলে আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমেনা খাতুন বলেন, ৫ আগস্ট টিটুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছিল। এ বিষয়ে সে একটি অভিযোগও করে। সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে গ্রেপ্তারের পর তার বিষয়ে নমনীয় হই। তবে সে আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।’

চাস


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর