আজ ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গবেষণার মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে কার্যকর ভুমিকা রাখতে হবে: প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম।


মোঃ রবিউল হোসেন খান : খুলনা ব্যুরো >>> গবেষণার মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে কার্যকর ভুমিকা রাখতে হবে।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল সাবজেক্ট চালু রয়েছে, তার মধ্যে অনেক গুলোই উন্নত বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়।গবেষণার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ইতিমধ্যে তাদের সক্ষমতা জানান দিয়েছেন।বিশেষ করে সুন্দরবন উপকুলীয় লবনাক্ত এলাকায় কৃষি উৎপাদনে তাদের গবেষণা অত্যান্ত চমৎকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকদের গবেষণা উচিত জনকল্যাণ ও বাস্তবমুখী।যার মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর ভুমিকা রাখা যায়।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ( প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম আজ ১৪ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকতআলী মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন। তিনি বলেন,গবেষণায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিপ্লব এসেছে কৃষিক্ষেত্রে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যর যে সংকট ও প্রয়োজনীতা দেখা যায়, তা দুরিকরনে কৃষিজ পন্য বিশেষ করে শাক- সবজি, ফলমুল ও মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ আশানুরুপ সাফল্য পেয়েছে। এক্ষেত্রে কৃষি বিজ্ঞানীদের ভুমিকা অগ্রগন্য। এক্ষেত্রে বিগত সরকারের রেখে যাওয়া খোঁড়া অর্থনীতিকে সাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা বড় চ্যালেঞ্জ।নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষ জনশক্তি ও উদ্যোক্তা হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা এবং প্রযুক্তিজ্ঞানে দক্ষ করে তুলতে হবে।তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ফান্ড সংগ্রহের আহবান জানান। একই সাথে তিনি বিশ্ব্যবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সতন্ত্র বেতন কাঠামো তৈরীর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারন অর রশিদ খান।সাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড মো: নুরুন্নবী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, শিক্ষা ও গবেষণায় সাম্প্রতিক অর্জন তুলে ধরেন প্রফেসর ড. আশিকুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন রেজিষ্ট্রোর( ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ সহকারী প্রফেসর. এম আমিনুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পৌছালে উপাচার্য তাকে ফুলেল শুভেচছা জানান। মতবিনিময় সভায় মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শাহাজান কবীর,প্রফেসর ড. সানাউল ইসলাম, স্টাডিজ ডিসিপ্লিন প্রধান কাজী হুমায়ুন কবীর,প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ খসরুল আলম,প্রফেসর ড. ইয়াসিন আলী,প্রফেসর ড. নাফিস আহসান,প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম রাক্কিবু,প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন,ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট,ছাত্র বিষয়ক পরিচালকসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর