মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা:
খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে ঘুষ,দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। অভিযুক্ত পরিচালক সহ খুলনা পাসপোর্ট অফিসের চারজন কর্মকর্তা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুলনা দুর্নীতি দমন কমিশন সমম্বিত জেলা কার্যালয়ে তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি গতকাল নিশ্চিত করেছেন দুদক সমম্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম। কমিশনের একটি সুত্র জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার নির্দেশে খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত পরিচালক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইতিমধ্যেই ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে বৃহস্পতিবার গত ২৪ অক্টোবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাতে চট্রগ্রামে পরিচালক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় আবু সাঈদের বিরুদ্ধে সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক উম্মে সালমার তানজিয়ার নেতৃত্বাধীন কমিটি কতৃক কোন বিভাগীয় তদন্ত সম্পন্ন হলে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন, ২০০৪ সালে সিলেট পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ঘুষের টাকা সহ হাতে নাতে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে ছিল কিনা, তাকে তখন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল কিনা, কিংবা তার বিরুদ্ধে কোন বিভাগীয় তদন্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল কিনা এই সংক্রান্ত তথ্যর রেকর্ড পত্র আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রকিবুল ইসলামের কাছে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদক খুলনা সমম্মিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, আজ ৩০ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সুপারেনটেন্ট মুন্সি শহিদুল আলম,অফিস সহকারী আফসানা আনসারী ও পরিচালকের গাড়ির চালক শামীম আহমেদকে খুলনা দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ৫ নভেম্বর বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবু সাঈদকে তার বক্তব্য প্রদানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন সমম্বিত জেলা কার্যালয় উপস্থিত হওয়ার জন্য পত্র প্রেরন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের সার্থে অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।অনুসন্ধান শেষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply