নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদগাঁওতে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে বসতঘর দখলে নিতে হামলা- ভাংচুর ও জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রবাসীর পরিবার -পরিজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) প্রবাসীর স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ঈদগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছে।
জানা যায়, উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সেলিম মোর্শেদ ও তার ছোট ভাই জালাবাদ যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ঈদগাঁও উপজেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক যুবলীগ ক্যাডার জিয়াবুল মোর্শেদ দীর্ঘ এক যুগ ধরে পালাকাটা সংলগ্ন কইল্লা ডেপা প্রবাসী আজিজের বাড়িতে স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে শত্রুতা পোষণ করে বিভিন্ন সময় ঘর বাড়ি ভাংচুর, গাছ পালা কেটে ফেলে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।এরই ধারাবাহিকতায় ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে ভোর সকালে সেলিম মোর্শেদ ও জিয়াবুল মোর্শেদের নেতৃত্বে ২০/৩০ জন সশস্ত্র লোকজন নিয়ে হামলা ও বশতঘর ভাংচুর চালিয়ে জবর দখল চেষ্টা চালায় এবং বসতভিটার গাছ পালা কেটে ফেলে।বাডির লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের প্রকাশ্যে প্রান নাশের হুমকি দেয়। এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে এরা বীরদর্পে চলে যায়।
এ সময় ঈদগাঁও থানায় অভিযোগ দেয়ার পর ও এরা ক্ষমতার জোরে বিচার মানে না। এরপর জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দায়ের করলে ভুক্তভোগীদের রায় ডিগ্রী দেয় চেয়ারম্যান। এরপর ও চলমান রয়েছে তাদের প্রান নাশের হুমকি ও জবর দখল চেষ্টা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী রেবেকা সুলতানার সাথে কথা হলে জানান, ২০১১ সাল থেকে আমি আমার বশত ঘরে বসবাস করে আসিতেছি। আমার স্বামী প্রবাসে থাকে, আমি ছোট ৩ টি কন্যা সন্তান নিয়ে ঘরে থাকি। কেউ না থাকার সুযোগে শত্রুতা পোষণ করে পাশের আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মোর্শেদ ও তার ছোট ভাই জিয়াবুল মোর্শেদ আমার বশতঘরে বিভিন্ন সময় হামলা, ভাংচুর ও গাছ পালা কেটে ফেলে এবং প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় আমি ঈদগাঁও থানায় অভিযোগ ও জালালাবাদ চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করি। এরা কোন কিছুকে তুয়াক্কা করে না। আওয়ামী ক্ষমতার জোরে দীর্ঘদিন ধরে অত্যচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এরা যে কোন সময় আমাকে এবং আমার সন্তানদের খুন গুম করতে পারে । এ ধরনের প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। তাদের সমস্ত ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আছে।
তাই আমি গত বৃহস্পতিবার থানায় আমার এবং পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করি এবং প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অভিযোগ উঠা আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মোর্শেদের মোবাইলে বার বার রিং দিয়ে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় আব্দুস সালাম, রহিম, ব্যবসায়ী জসিম,গিয়াস উদ্দিনসহ অনেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মসিউর রহমানের সাথে কথা হলে ডায়েরীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান।
Leave a Reply