আবদুর রাজ্জাক, জেলা প্রতিনিধি,কক্সবাজার।। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দ্বি-খন্ডিত ও পরিবেশ ধ্বংস করে ইনানী সী বীচে অবৈধ ভাবে নির্মিত ভেঙ্গে পড়া জেটি সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করার দাবীতে মানববন্ধন করেছে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাব। প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের জাহাজ কোম্পানীদের সুবিধার লক্ষ্যে জাহাজের অবৈধভাবে নির্মিত একটি জেটি, যার ফলে সৈকতটি দ্বিখণ্ডিত ও পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ স্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, কারণ এটি সমুদ্র সৈকতের স্বাভাবিক ধারা ও সৌন্দর্য নষ্ট করছে এবং সমুদ্রতীরবর্তী পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। জেটির নির্মাণ প্রকৃতির প্রাকৃতিক প্রবাহকে ব্যাহত করে এবং উপকূলীয় বন্যপ্রাণীর জন্যও হুমকিস্বরূপ। ২৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুর ১২.০০ টায় ইনানী নৌবাহিনীর জেটির পার্শ্বে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি বাংলাদেশ এর কক্সবাজার প্রতিনিধি এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ই-টেন টেলিভিশন এবং চাটগাঁর সংবাদের কক্সবাজার ব্যুরো প্রধান আব্দুর রাজ্জাক, দৈনিক আজাদীর সিনিয়র রিপোর্টার আহমদ গিয়াস, দৈনিক আমাদের কক্সবাজার পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আয়াছ রনি, দৈনিক গনসংযোগ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক জাহেদ হোসেন, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি শামশুল আলম শ্রাবণ, দৈনিক নববানীর স্টাফ রিপোর্টার মোঃ রমজান আলী , দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার দিদারুল ইসলাম কাজল,বাংলাভিশন টিভির প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন সহ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ২০২০ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সময় আন্তর্জাতিক নৌ-মহড়ার জন্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতেরর ইনানী বীচের মাঝখানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নির্মাণ করেছিল। এটি নির্মাণের সময় থেকে পরিবেশবাদীরা এর বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। প্রতিবাদের জবাবে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছিল যে, তাদের কিছু সংস্কার কাজের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে এই জেটি নির্মাণ করা হবে বলে সবার চেখে ধুলো দিয়ে নির্মাণ করে সমুদ্রের সৌন্দর্য্য বিনষ্ট সহ ইকোসিস্টেম ধ্বংস করেছে।
২০২২ সালে কক্সবাজারের একটি সংগঠনের দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত জেটি অপসারণের জন্য রুল জারি করেন। তবে এখনও জেটি সরানো হয়নি। ২০২৩ সাল থেকে এই জেটি দিয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটক জাহাজ আসা-যাওয়া করছিল। সর্বশেষ ১ নভেম্বর থেকে ফের এই জেটি দিয়ে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল জাহাজ কোম্পানিগুলো।
বক্তারা আরো জানান, প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করলে আল্লাহ তায়ালা নিজেই এর শাস্তি দুনিয়াতে দিয়ে থাকেন, যার জলন্ত প্রমাণ গেল ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ এর তান্ডবে উত্তাল সাগরে প্রবল ঢেউয়ে জেটিতে বেঁধে রাখা বার্জটির ধাক্কায় জেটিটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।পরে কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে পরিবেশ বিধ্বংসী ইনানী সী বীচে অবৈধ ভাবে নির্মিত ভেঙ্গে পড়া জেটি সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করার দাবী জানান।
Leave a Reply