মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১ ০৭:৪৯ এএম
বাঙালির পিঠাপুলি থেকে শুরু করে মজাদার অনেক পদের রান্নায় নারকেলের বিকল্প নেই বললেই চলে। কিন্তু ক্রমে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে নারকেল। বর্তমানে খুচরায় প্রতিটি বড় নারকেল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। মুদি দোকানে দাম আরও বেশি।
দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বেশ কয়েকটি নারকেলের আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডাবের চাহিদা বাড়ায় নারকেলের সরবরাহ কমে গেছে। গৃহস্থ বা বাগানমালিকরা করোনাকাল ও গ্রীষ্মকালে কচি ডাব বিক্রি করেছেন বেশি দামে, তাই নারকেলের সরবরাহে ঘাটতি পড়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে।
৩০৫
খাতুনগঞ্জের মেসার্স হাজি খুইল্ল্যা মিঞা ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ লোকমান গণমাধ্যমকে জানান, এখন নোয়াখালী থেকেই নারকেল আসছে খাতুনগঞ্জে। ১২ বছর নারকেলের ব্যবসা করছি। এত দাম এই জীবনে দেখিনি। এখন ৭৪ টাকায় কিনে ৮০ টাকায় পাইকারি বিক্রি করছি। এক ট্রাক বা কাভার্ডভ্যানে ৭ হাজার নারকেল আসে। ভাড়া পড়ছে ৫-৭ হাজার টাকা।
দাম আরও বাড়বে এমন শঙ্কায় শ্রীলংকা বা অন্যকোনো দেশ থেকে আস্ত নারকেল আমদানির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন অনেকে।
তিনি জানান, দাম বেড়ে যাওয়ায় আড়তে বেচাবিক্রি কমে গেছে। দাম কম থাকলে রিকশাভ্যানে, ফেরিওয়ালারাও নারকেল কিনে খুচরা বিক্রি করতেন। এখন শুধু বড় বড় মুদি দোকানিরাই বিক্রি করছেন।
৪২ বছর খাতুনগঞ্জের নারকেলের আড়তে কাজ করছেন মিজান ট্রেডার্সের মো. মনু মিয়া। তিনি বলেন, একসময় কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, যশোর, খুলনা থেকে নারকেল আসত খাতুনগঞ্জে। এখন শুধু নোয়াখালীর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। একদিকে নারকেল গাছ কমছে, ঔষধি গুণাগুণ থাকায় ডাবের চাহিদা বাড়ছে। নারকেল হওয়ার আগেই ডাব বিক্রি করে দিচ্ছেন সবাই।
তিনি বলেন, পূজা-পার্বণ, ঈদ-রমজান, শীতকালীন নবান্নসহ সারা বছরই নারকেলের চাহিদা থাকে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় রমজানে আরও দাম বাড়তে পারে নারকেলের।
একজন আড়তদার বলেন, নোয়াখালীতে ছোট, মাঝারি, বড় মিলিয়ে এক হাজার পিস নারকেল কিনতে হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকায়। তিন মাস আগেও ছিল ৩২ হাজার টাকা। দুঃখের বিষয় এখন ‘ঝুনা’ বা গাছপাকা নারকেল মিলছে না। পরিপক্ব হওয়ার আগেই চামড়া খুলে নারকেল হিসেবে গছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সাদা রং বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। পচে গলে লোকসান দিতে হচ্ছে।
খাজা ট্রেডার্সের নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা নোয়াখালীর পাশাপাশি ভোলা থেকে সড়কপথে কিছু ডাব আনছি। ভোলা থেকে ১৭-১৮ হাজার টাকা গাড়িভাড়া দিতে হচ্ছে ৭ হাজার নারকেল আনতে। একসময় আস্ত নারকেল আসত খাতুনগঞ্জে। আমরা শ্রমিক দিয়ে সেগুলোর খোসা ছাড়াতাম। এখন খোসার দামও অনেক! তাই মোকামেই খোসা ছাড়ানো হয়। মন্দের ভালো হচ্ছে আস্ত নারকেলের চেয়ে খোসা ছাড়ানো নারকেলের ক্ষেত্রে গাড়িতে জায়গা কম লাগে।
কাজীর দেউড়ি, জামালখান, মোমিন রোড, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ বেশ কয়েকটি খুচরা দোকান ঘুরে দেখা গেছে- ছোট আকারের নারকেল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। বড় আকারের নারকেল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার বেশি।
চকবাজার থানা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নগরীর গুলজার মোড়,চকবাজার কাঁচা বাজার ও বিভিন্ন শপিং মলে ... বিস্তারিত
করোনায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান ... বিস্তারিত
দ্বিতীয় দফার করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক ব্যবহারে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে পথচারী ও নিম্ন আয়ের মানুষের ... বিস্তারিত
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসাধারণ কে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথম দিনের মতো ... বিস্তারিত
দ্বিতীয় দফার করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক ব্যবহারে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে পথচারী ও নিম্ন আয়ের মানুষের ... বিস্তারিত
দ্বিতীয় দফার করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক ব্যবহারে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে পথচারী ও নিম্ন আয়ের মানুষের ... বিস্তারিত
‘মুজিববর্ষে শপথ নেবো, জাটকা নয় ইলিশ খাবো’ এ স্লোগান নিয়ে শনিবার (৩ এপ্রিল) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ... বিস্তারিত
ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম ... বিস্তারিত
চকবাজার থানা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নগরীর গুলজার মোড়,চকবাজার কাঁচা বাজার ও বিভিন্ন শপিং মলে ... বিস্তারিত
করোনায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান ... বিস্তারিত